• ঢাকা
  • |
  • রবিবার ৭ই পৌষ ১৪৩২ সন্ধ্যা ০৭:১৫:০৫ (21-Dec-2025)
  • - ৩৩° সে:
সংবাদ ছবি

আইএসডিতে ‘ভয়েস অব চেইঞ্জ’ শীর্ষক প্যানেল আলোচনা

নিজস্ব প্রতিবেদক: সম্প্রতি, দেশের প্রযুক্তি খাতের নেতৃবৃন্দ, সৃজনশীল পেশাজীবী ও উদ্যোক্তাদের নিয়ে ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ঢাকায় (আইএসডি) এক প্যানেল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে।আলোচকরা এ সময় বর্তমানের দ্রুত পরিবর্তনশীল বিশ্বে পেশাগত জীবন গঠন এবং শিক্ষার্থীদের বৈশ্বিক সুযোগের জন্য প্রস্তুত করার বিষয়ে মতামত বিনিময় করেন। স্বনামধন্য এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক আয়োজিত ‘ভয়েস অব চেইঞ্জ’ শীর্ষক এ অনুষ্ঠানে পাঁচজন বিশিষ্ট বক্তার মধ্যে তিনজন ছিলেন আইএসডির প্রাক্তন শিক্ষার্থী।আলোচনায় শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন টরন্টো-ভিত্তিক ডোরড্যাশের ইঞ্জিনিয়ারিং লিডার ও আইএসডির প্রাক্তন শিক্ষার্থী শেহজাদ নূর তাউস, সদ্য নির্বাচিত মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ ও মেকআপ আর্টিস্ট অনিকা আলম, প্রিভে স্যালন চেইনের উদ্যোক্তা ও মালিক নাহিলা হেদায়েত, ব্যবসায়ী ও ফিটনেস অ্যাডভোকেট ও আইএসডি’র প্রাক্তন শিক্ষার্থী রাওয়ান চৌধুরী এবং অর্থনীতিবিদ, উদ্যোক্তা ও মেকআপ আর্টিস্ট সালসাবিনা স্বর্ণা।  অনুষ্ঠানে আলোচকদের বহুমুখী অভিজ্ঞতা আইএসডির শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও বৃহত্তর কমিউনিটির প্রতিনিধিদের শৃঙ্খলা, সৃজনশীলতা, ডিজিটাল দক্ষতা ও ব্যক্তিগত উচ্চাকাঙ্ক্ষা কীভাবে বিষয় সম্পর্কিত ক্যারিয়ার গঠনে ভূমিকা রাখতে পারে তা নিয়ে বাস্তবসম্মত ধারণা প্রদান করে।নিজের পথচলা সম্পর্কে বলতে গিয়ে আইএসডি ও ইউনিভার্সিটি অব ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার প্রাক্তন শিক্ষার্থী এবং ফোর্বসের ‘থার্টি আন্ডার থার্টি’ তালিকায় স্থান পাওয়া শেহজাদ নূর তাউস বলেন, “দশ বছর বয়সে কোডিং শেখা আমাকে অন্যদের থেকে এগিয়ে থাকার সুযোগ দিয়েছে এবং এই দক্ষতা বছরের পর বছর ধরে আরও সমৃদ্ধ হয়েছে। আপনি যখন সময়ের আগেই শুরু করেন, তখন সেটি আপনার পরিচয়ের একটি অংশ হয়ে যায়। আর আপনার কাছের মানুষেরা সে যাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।”আইএসডির আরেক প্রাক্তন শিক্ষার্থী আনিকা আলম তার সৃজনশীল ক্ষেত্রের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বলেন, “ইনস্টাগ্রামে কেবলই মজা করার বিষয় হিসেবে যা শুরু হলেও ধীরে ধীরে এটা এমন একটি জায়গায় পৌঁছায়, যেখানে মানুষ আমার কাজ দেখা শুরু করে। আমি এমন সব সৃজনশীল জায়গা থেকে আমন্ত্রণ পাই, যেখানে যাবার কথা আমি কখনও ভাবতেও পারিনি। আর বর্তমান সময়ে সৃজনশীল ও পেশাগত পরিচিতির জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরব উপস্থিতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”প্যানেল আলোচনায় আধুনিক কর্মজীবনের ব্যাবহারিক দিক এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারের অসুবিধার বিপরীতে এটিকে একটি কার্যকর টুল হিসেবে ব্যবহার করার সুযোগ সম্পর্কে আলোচনা করা হয়। পাশাপাশি, শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার জন্য ফিটনেসের ভূমিকা এবং আরও উন্নত ও ব্যক্তি বিশেষায়িত কাজের জন্য একটি নির্দিষ্ট ও উপযুক্ত ক্ষেত্র গড়ে তোলার গুরুত্বের প্রতিও আলোকপাত করা হয়। অর্থবহ আলোচনায় নিজেদের সম্পৃক্ত করেন শ্রোতারাও; বিশেষ করে, আইএসডির প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে সরাসরি অভিজ্ঞতা শোনার সুযোগ পেয়ে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা সন্তোষ প্রকাশ করেন। পারস্পরিক প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশগ্রহণকারীরা বক্তাদের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত হয়ে বিষয়গুলো আরও গভীরভাবে জানার সুযোগ পান।আইএসডির পরিচালক স্টিভ ক্যাল্যান্ড-স্কোবল বলেন, “আমাদের অ্যালামনাই ও কমিউনিটি সদস্যদের একে অপরকে অভিজ্ঞতার মাধ্যমে অনুপ্রাণিত করা এই প্যানেল আলোচনাকে আরও অর্থবহ করে তুলেছে। এর ভিত্তি তারা আইএসডিতেই গড়ে তুলেছিল। এখানে প্রতিনিধিত্ব করা বিভিন্ন পেশাজীবী আইএসডির শিক্ষার শক্তিমত্তার প্রমাণ। এখানে পাওয়া শিক্ষা শিক্ষার্থীদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস গড়ে তোলে, নতুন সম্ভাবনা দ্বার খুলে দেয়, শিক্ষার্থীদের মানসিকভাবে প্রস্তুত করে তোলে, যার মাধ্যমে তারা বিভিন্ন শিল্পখাত ও দেশের সীমা পেরিয়ে সফলভাবে এগিয়ে যেতে পারে।”সম্প্রতি, আইএসডি’র ২৫ বছর বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানটিকে আরও তাৎপর্যপূর্ণ করে তোলে। প্রতিষ্ঠানটি এমন বৈশ্বিক শিক্ষার্থী গড়ে তুলেছে, যারা বিশ্বের শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছে এবং নানা খাতে ক্যারিয়ার গড়ে তুলেছে।ভবিষ্যতেও আইএসডি এ ধরনের উদ্যোগ চালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছে। পাশাপাশি, সংলাপ, সহযোগিতা ও যৌথ শিক্ষার জন্য এমন প্ল্যাটর্ফম তৈরিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি তাদের অ্যালামনাই, অংশীদার ও বৃহত্তর কমিউনিটির সাথে সক্রিয়ভাবে যুক্ত থাকবে।