• ঢাকা
  • |
  • শুক্রবার ৪ঠা পৌষ ১৪৩২ ভোর ০৪:৩১:৫২ (19-Dec-2025)
  • - ৩৩° সে:
সংবাদ ছবি

সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক: চলতি মাসেই তোলা যাবে আমানতের টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক: এক্সিম, ফার্স্ট সিকিউরিটি, সোস্যাল ইসলামী, গ্লোবাল ইসলামী ও ইউনিয়ন দুর্দশাগ্রস্ত এই ৫ ব্যাংক নিয়ে গঠিত হয়েছে সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক। শুরু হয়েছে এর আনুষ্ঠানিক কার্যক্রমও।১৭ ডিসেম্বর বুধবার অনুষ্ঠিত হয় পরিচালনা পর্ষদের প্রথম সভা। আলোচনা হয় ব্যাংক রেজ্যুলেশন অধ্যাদেশের দ্রুত বাস্তবায়ন নিয়ে।সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আইয়ূব মিয়া জানান, সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংকের সাথে ৫ ব্যাংকের সফটওয়্যার একীভূতকরণ এবং জনবল স্থানান্তরের মাধ্যমে দ্রুতই স্বাভাবিক লেনদেন শুরু করতে চান তারা। চলতি মাসের মধ্যেই আমানতকারীরা টাকা তুলতে পারবেন বলেও আশ্বাস দেন তিনি।ড. মোহাম্মদ আইয়ূব মিয়া বলেছেন, ব্যাংকের লোগো, লেটার হেড, সাইনবোর্ড ঠিক করা হয়েছে। মানে ডিজাইনগুলো চূড়ান্ত হয়ে গেছে। দ্রুত লেনদেন স্বাভাবিক করতে রাতদিন পরিশ্রম করছি। যার টাকা দুই লাখের নিচে, সে অর্থ তুলতে পারবে। বিশেষ করে যারা ক্যানসার বা কিডিনি রোগী কিংবা যাদের নিয়মিত টাকা-পয়সা দরকার হয়, তাদেরকে আমরা অগ্রাধিকার দিবো।ব্যাংকগুলো থেকে জনবল ছাঁটাইয়ের বিষয়ে পরিচালনা পর্ষদে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি বলেও জানালেন তিনি। তবে যারা অনিয়মে জড়িত ছিলেন, তদন্ত সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে নেয়া হবে ব্যবস্থা।সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান বলেছেন, অতীতে নিশ্চয়ই বিভিন্ন ধরনের অনিয়ম হয়েছে। না হলে ব্যাংকগুলো দুর্বল হলো কী করে? অব্যবস্থাপনা, অনিয়ম, দুর্নীতির কারণে হয়েছে। যে বা যারা দায়ী হয়ে থাকে এবং সেটা যদি প্রমাণ পাওয়া যায়, আইনের দৃষ্টিতেই তো তার চাকরি থাকার কথা না। কর্মী ছাটাই বলতে যা বুঝায় বা কমানো বুঝায় এই পলিসি গ্রহণ করা হয়নি। বরং যারা দায়ী হবে, এটা তো যেকোনো প্রতিষ্ঠানই দায়ী হতে পারে, যারাই দায়ী হবে তাদের বেলায় আইনগতভাবে অ্যাকশন নেয়া হবে।চলতি মাসের মধ্যেই ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ গুরুত্বপূর্ণ পদের নিয়োগ কার্যক্রম শেষ করার কথা জানান তিনি। তার মতে, পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করতে পারলে ৩ বছরের মধ্যেই ঘুরে দাঁড়াবে সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক।ড. মোহাম্মদ আইয়ূব মিয়া বলেছেন, সরকারের উদ্যোগে একটা বৃহত্তর ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংক অত্যন্ত আন্তরিকভাবেই কাজটিকে এগিয়ে নিতে চান। ইসলামিক ব্যাংকিং সিস্টেমটাকে একটা বড় প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো দাঁড় করানোর জন্য যে চ্যালেঞ্জটা আমাদের ওপর অর্পিত হয়েছে বা সরকার যে দায়িত্বটা গ্রহণ করেছে, নিশ্চয়ই আমরা সফল হতে পারবো। আমরা আশা করছি যে তিন বছরের মধ্যে ভালো অবস্থানে দাঁড়াতে সক্ষম হবো।শুধু মূলধনের বিচারে নয়, কার্যক্রমের দিক থেকেও সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক দেশের সবচেয়ে বড় ব্যাংক হবে বলে মনে করছেন তিনি।