স্টাফ রিপোর্টার: প্রশাসনের কঠোর নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলায় বিভিন্ন পয়েন্টে চলছে মা ইলিশ শিকার এবং বিক্রি। দিনের বেলায় তৎপরতা তেমন না থাকলেও বিকেল নামার সাথে সাথেই বিভিন্ন খালের প্রবেশমুখ থেকে বেরিয়ে আসে মৎস্য শিকারীরা। সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলে তারা নদীতে দাপিয়ে বেড়ায়, যেন প্রশাসনের কোনো অস্তিত্বই নেই।
প্রজনন মৌসুমে মা-ইলিশ সংরক্ষণে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যাপক তোরজোরের কথা বলা হলেও পদ্মারপাড়েই প্রকাশ্যে চলছে ইলিশের বেচাকেনা। পদ্মার দুপাড়ে অন্তত ১০ টি অস্থায়ী মৎস্য আড়ত বসিয়ে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ টাকার মা ইলিশের বেচাকেনা চলছে। ভেসতে যেতে বসেছে মা ইলিশ রক্ষায় সরকারের সকল উদ্যোগ।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার উত্তর তারাবুনিয়ার ছুরিরচর বেপারী বাজারের দক্ষিন পাশে নদীর পাড়ে দিন রাত ২৪ ঘন্টা মা ইলিশের বেচাকেনা চলছে। এছাড়া উত্তর তারবুনিয়ার মোল্যার বাজারে অস্থায়ী মৎস্য আড়ত বসিয়ে মাছ বেচাকেনা করছে। দুলারচর মনাইহাওলাদারের বাজারের সাবেক লঞ্চঘাট এলাকায় পদ্মার পাড়ে গড়ে উঠেছে আরো একাধিক অস্থায়ী মাছের আড়ত।
এছাড়া দুলারচর ভাঙাস্কুল এলাকায় একটি অস্থায়ী আড়তে মা ইলিশ বেচাকেনা হচ্ছে। কাচিকাটার বিভিন্ন পয়েন্টে ছোটবড় বেশ কয়েকটি অস্থায়ী মাছের আড়ত বসেছে। এসব আড়তে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ টাকার মাছ বিক্রি হচ্ছে। এদিকে জেলেদের সাথে প্রশাসনের চলছে চোর পুলিশ খেলা। শতশত জেলে নদীতে জাল ফেলছে। প্রশাসনের কাউকে দেখলেই জাল ফেলে পাড়ে অবস্থান করছে। সুযোগ পেলেই জাল তুলে পদ্মার পাড়ে সেই মাছ অস্থায়ী আড়তে বিক্রি করছে।
উত্তর তারাবুনিয়া ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক লালমিয়া বেপারী বলেন, আশা ছিল মা ইলিশের সময় ভালো ব্যাবসা হবে। কিন্তু নদীতে আশানুরূপ মাছ পাওয়া যাচ্ছে না। আমি একা না, এখানে যারা ব্যাবসা করে সবার অবস্থাই খারাপ।
উত্তর তারাবুনিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা মৎস্য ব্যাবসায়ী সুমন প্রধানীয়া বলেন, ব্যাবসার অবস্থা খুবই খারাপ নদীতে মাছ নাই। জেলেরা নদীতে যেতে পারে না। লোকসানে আছি।
জেলে আল আমিন ও আনিসুর বলেন, ২২ দিন তো আমরা কোন কাজ করি না। সরকার ২০ কেজি করে চাল দিলে এতে আমাদের সংসার চলে না। তাই ঝুকি নিয়েই জাল ফেলি।
সখিপুর থানা বিএনপির সভাপতি ও কাচিকাটা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল হামিদ সরদার বলেন, আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে। কে বিএনপি কে জামাত করে এটা কোন মুখ্য বিষয় না। যদি বিএরপির কেউ অবৈধ কাজের সাথে জড়িত হয়৷ বিএনপি তার দায় নেবে না। আমরা প্রশাসনকে তার বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নেয়ার অনুরোধ করবো।
ভেদরগঞ্জ উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল ইমরান বলেন, আমরা প্রতিনিয়ত অভিযান পরিচালনা করছি। জাল জব্দ করছি। তবে আপনি যে আড়ত গুলোর কথা বলছেন। আমি বিষয়টি নিয়ে এখুনি ব্যাবস্থা নিচ্ছি।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available