ভৈরব (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি: কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ফাঁকা জনশূন্য পরিত্যক্ত দেশের সাবেক ১৯তম রাষ্ট্রপতি প্রয়াত আলহাজ মো. জিল্লুর রহমান’র পৈতৃক বাড়ি। এখন একটি কিন্ডারগার্টেন স্কুলে পরিণত হয়েছে। এক সময় যে বাড়িটির দিকে তাকিয়ে মানুষ খুঁজে ফিরত নানা রাজনৈতিক ইতিহাস আর ঐতিহ্য সেই বিলাসবহুল প্রসাসম বাড়িতে ভূতুরে পরিবেশ থেকে এখন সানফ্লাওয়ার কিন্ডারগার্টেন স্কুলের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। পৌর শহরের বুকে নিদর্শন হিসাবে দাঁড়িয়ে থাকা ঐতিহ্য লালিত সাবেক রাষ্ট্রপতির সহধর্মিণী প্রয়াত আইভী রহমানের নামে থাকা বাড়িটিতে দামি যাবতীয় আসবাবপত্র এমনকি দরজা জানালাও খুলে নেওয়া হয়েছে।
৫ই আগস্ট ক্ষমতাচ্যুত দেশত্যাগ করা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরে। দেড় দশকের বেশি সময় ক্ষমতায় ছিলেন তারা। বাবা জিল্লুর রহমান মন্ত্রী সর্বশেষ রাষ্ট্রপতি। ছেলে আলহাজ নাজমুল হাসান পাপন এমপি আওয়ামী সরকারের মন্ত্রী এমনকি ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি হয়েছিলেন। সেই সময় আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতারা প্রায় সবাই আসা-যাওয়া করতেন এই দুই তালা বিশিষ্ট প্রসাদসমও বিলাসবহুল বাড়িতে। এ বাড়িটি একসময় হয়ে উঠেছিল রাজনৈতিক কার্যক্রমের কেন্দ্রবিন্দু। এ কারণে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালীন নিয়মিতভাবে এখানে ভিড় করতেন স্থানীয় থেকে কেন্দ্রীয় পর্যায়ের নেতাকর্মীরা। দিনরাত এ আইভি ভবনে জমজমাট থাকতো চা-পানের আড্ডায় নেতাকর্মীদের পদচারণায় মুখরিত। গেল এক বছর সরকার পটপরিবর্তনের পর যা ছিল ভূতুড়ে পরিবেশ।
সম্প্রতি, এই বাড়িটি কিন্ডারগার্টেন স্কুলে কার্যক্রম পরিচালিত হলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইজবুকে ভৈরব উপজেলা যুবলীগের অরিন আহমেদ পিয়াস নামের এক কর্মী তার ব্যক্তিগত ফেইসবুক আইডি থেকে বাড়িটির ছবি দিয়ে সাবেক রাষ্ট্রপতির পুত্র একাধিক মামলায় পলাতক সাবেক মন্ত্রী নাজমুল হাসান পাপন কে উদ্দেশ্য করে ক্ষোভ জেরে একটি পোস্ট দেন। যা মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়ে পড়ে শুরু হয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নেটিজেনদের মাঝে নানা-আলোচনা, সমালোচনার ঝড় উঠেছে। জেলা থেকে প্রকাশিত একাধিক বিভিন্ন অনলাইন পত্র-পত্রিকায় এটা নিয়ে সংবাদ পরিবেশিত হলে বিষয়টি সকলের নজরে আসে।
এই ব্যাপারে, ভৈরব সানফ্লাওয়ার কিন্ডারগার্টেন স্কুলের অধ্যক্ষ শিক্ষাবিদ আবদুল বাসেত মুঠোফোনে বলেন, সকলের জ্ঞাতার্থে বলছি, এই এই স্কুলটি ১৯৮৭ সালে প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ে এই বাড়িতে ছিল তখন এই ভবনটির নাম গৃহকোণ ছিল। নীচ তালায় স্কুল ছিল উপর তালায় রাষ্ট্রপতি তৎকালীন আমলে বাড়িতে আসলে থাকতেন। মাঝখানের সময়টাতে আমরা অন্যত্র স্থানান্তর করেছিলাম স্কুলটাকে।
কিন্তু বিগত সরকার পটপরিবর্তন হওয়ার পর বাড়িটা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়। তখন কোমলমতি শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে বাড়িটি মালিকপক্ষ কাছ থেকে ভাড়া নিয়ে সাজসজ্জায়িত করে এ ঐতিহ্যবাহী শিশুদের স্কুলটি কার্যক্রম পরিচালনা করছি তা -তো দোষের কিছু না। আর তা যদি না হতো এ জনশূন্য বাড়িতে মাদকসেবীদের আখড়ায় পরিণত হতো। এখন স্কুল হয়েছে এটা তো ভৈরববাসীসহ সকলের জন্যই ভালো উপকারে আসবে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available